ভগ্নাংশঃ
∆ তাকে ওড়ায় সাধ্য কার, নিজের খাঁচায় বন্দী যে,
বুকের ভেতর বৃষ্টি হলে, চোখের আগে মন ভিজে।।
∆ মৃত্যু বলছে, ‘জন্মাও’ আর জীবন বলছে, ‘বাঁচো’
তোমরা যারা জন্মাওনি, তারা-ই ভালো আছো।।
∆ সঙ্গে থেকো সন্ধ্যা তারা
সঙ্গে থেকো চাঁদও
আকাশ যদি না দেয় সাড়া
আমার সঙ্গে কাঁদো।।
∆ নিজের মৃত্যুতে কাঁদতে পারবো না বলেই ভূমিষ্ঠ হবার পর হাউমাউ করে কেঁদে উঠেছিলাম।
∆ শেকড় শুধু আগলে রাখে বৃক্ষ, শাখা জানে পাখিদের প্রস্থান
সকল মানুষ এক যন্ত্রণার, এক বিষাদের বিভিন্ন সন্তান।।
∆ চোখের কাজ শুধু দেখানা, কাঁদাও।
কান্নার যথেষ্ট কারণ থাকা সত্ত্বেও স্পষ্ট ভাষায় কাঁদতে না পারা এক ধরনের অন্ধত্ব।
যারা কাঁদতে পারেনা তারা এক প্রকার অন্ধ-ই।
∆ কিছু মানুষ ভুল করে পৃথিবীতে ঢুকে পড়েছে।
তারা আর বের হতে পারছে না। আমি তাদের-ই একজন।
চুম্বনাংশঃ
∆ আমি স্পর্শ না করা পর্যন্ত তুমি কুমারী।।
∆ তোমাকে ছুঁয়ে দিলে মুছে যায় পাপ, গ্লানি ও ক্ষত
তোমায় স্বরণ করি কোরানের আয়াতের মতো।।
∆ যদি ঘুমিয়ে যাই মাথা রেখে বুকে
আমাকে জাগিয়ো প্রিয় চুমুর চাবুকে।।
∆ চোখ ভর্তি ঝগড়াটে ফুল, মুঠো ভর্তি আড়ি
অভিমানে পুড়ে যাচ্ছে মেঘেদের ঘরবাড়ি।।
∆ এই মুহুর্তে একলা যে, তার ঠিকানায় লিখছি-
ছুঁয়ে দিলে মেঘ ডাকে আর চুম্বনে হয় বৃষ্টি।।
∆ তোমাকে চুমু খাবো বলে,
ষোল মাস আমি সিগেরেট ধরাই নি।
কী অদ্ভুত!
এরকম মিথ্যে কথা দিয়েও
আজকাল কবিতা লিখছি?
∆ হে প্রেম !
হে মাধুর্য্য !
ভাবছি,
তোমাকে পেয়ে গেলে জনশূন্য করে দেবো পৃথিবী ,
ফুঁ দিয়ে নেভাবো সূর্য।।