শেষের সহন

একদিঘী জল যেমন করে পলকে ছুঁয়ে ফেলে দহনক্লান্ত ডাহুকির ডানা- তেমনই ছুঁয়ে থাকে ডাহুকি আমাকে। একটা নাম দেবো ভেবে সমস্ত আয়োজনে দাসী করে রাখি বৃদ্ধ বিকেল; চোখদুটো বেঁধে রাখি হাছিনের ঘুড়িতে, দেখি যদি সেই মেঘমুখ, দুচোখে যার হিজলের বন, ব্যথায় বিলিন তার শব, যেন জলভাসা তাচ্ছিল্যের ফুল। ভাড়া করে আনি শ্মশানের আগুন, দুহাতে তা বিছিয়ে …

আরাধ্য মাংস ও রঙের ভেতর

হেঁটেছি মানুষের পথ ধরে, এই চিরকান্তিময় মাংশের পাশেপাশেই খুঁজেছি আশ্রয় বহু বহুবার। মানুষের ভেতরে সেঁধিয়ে নিহত হয়েছি, আরও জন্মেছি এই তীব্র রহস্যের জলাধারে। মৃত্যুকে দেখেছি জীবনের দিকে নুয়ে পড়তে, যেন লুকোনো স্তনের ভার নিয়ে – কাঁটার মত চোখ হয়ে যেন বিঁধে বিঁধে থাকে। শেষবেলার ফুরিয়ে আসা রঙের ওপারে দিনআনা মজুরির হাতের দিকে- বসে থেকে থেকে …

লাশ

দ্রুতগামী কোন এক ট্রেনের নীচে- শুয়ে পড়ি আজ মাঝরাতে; সমস্ত জীবনের কোলাহল ভুলে, অনিচ্ছায় গড়া জীবন ছেড়ে, পিছুটান আর জোড়াতালি দেয়া ভালোবাসা ভুলে- হয়ে যাই ছিন্নভিন্ন এক বেহায়া লাশ। সকাল সকাল জীবিকার তাগিদে বের হওয়া কিছু কুকুরের চোখে পড়ে থাকা আমায় দেখে লাগুক না হয় লোভ। খেয়ে পড়ে লাশ, যতটুকু থাক রেখে দিও অবেলায়, হবে …