আমি আজ কি লিখবো ?
কি ই বা লিখার আছে বলুনতো ?
কে ই বা শুনবে কথা ?
আমি তো জেরুজালেমের বিরুদ্ধে বলবো ?
আধুনিক এসাইলাম-সিকার গোষ্ঠি আবার
তা নিতে পারে না ।
যারা মানবতার দূত,
শালা স্বৈরাচার এরশাদও তো দূতই !
কেবল পার্থক্য-
তারা তো ২৩০ ডলার ভাতা পায় !
আমিতো বুর্জোয়াবাদের বিরুদ্ধে বলবো।
আমি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বলবো।
আমি সেই অস্ত্র, সেই মারণাস্ত্রের বিরুদ্ধে বলবো যাকে তুমি মডারেট ধর্ম বলো।
যেখানে তুমি ভুল ব্যাখ্যায় লেলিয়ে দাও
ঘৃণা এবং ধ্বংসযজ্ঞ হয় আমার ঘর।
তুমি পেট্রো ডলারে রিগায় বসে লাল লিপষ্টিকে
অথবা লিও তে ১৫ বছরের আরব কিশোরী হাতাচ্ছো।
অথবা সুইস বর্ডারের ইউএন অংশের
হাট বাজারে!
আচ্ছা কোথায় ছিলে বলোতো ?
যখন রাতে হঠাৎ কসাভোর জেনারেল হাসপাতালে
৪৩৮ জনকে গুলি করে মারা হয়।
যখন নার্স, হ্যা নার্স যাকে তুমি নাইটেংগেল বলো।
তাদের শরীরের লজ্জ্বা স্থানগুলোকে ছিন্নভিন্ন করে,
দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা হয়,
একেকটা সাদা কাগজে লিখে রাখা হয় প্রতিটি অঙ্গের সামরিক প্রতিশব্দ।
তখন কি তুমি ব্রাসেলসের কোনো পানশালায় !
তুমি সব কিছুর খবর রাখো অথচ ভুলে যাও
১৯৭২, মিউনিখ ।
ভুলে যাও,
১৯৬৬, বৈরুত ।
ভুলে যাও,
১৯৭১, বাংলাদেশ ।
ভুলে যাও,
১৯৯৫, যুগোস্লাভিয়া ।
ভুলে যাও স অ ব।
১৯৯৭, চেচনিয়া ।
ইরাক,আফগানিস্তান তো কেবল হলো।
হ্যাহ!! বোকাচণ্ডী আমি,
আমি বলবো সেই পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে কথা যা যুদ্ধনীতি নামে পরিচিত।
প্রতিটি অঞ্চলে যুদ্ধ বাধিয়ে ন্যাকা কান্নার মচ্ছব তোমার;
এবার কি থামবে ?
এবার তুমি আক্রান্ত প্যারিস।
এবার তোমার সন্তান নিপিড়িত।
এবার তুমি রক্তস্নাত।
এবার বলে ক্যানো দিচ্ছোনা তোমার নারী বাজার,
তোমার বুদাপেস্টের টোনা ফিশ,
তোমার লেবানিজ হাশিশ,
তোমার আফগানি পয়েন্ট ৫ কোকেইন,
তোমার রবিবারের মেগাবেট,
ঘোড়াদৌড় সব যার হাতে
যার হাতে তুমি আর তোমার ভঙ্গুর অর্থনীতির প্রভু।
সেই প্রিয় নগরী জেরুজালেম ৩ দিন আগে,
বীভৎস শুক্রবারের ৩দিন আগে
কি হুমকি দিয়েছিলো ?
নাকি ভুলে গ্যাছো পরমাত্মীয়ের অভিমান ভেবে !
নাকি ধর্ম ব্যবহার করে তুমিও ভাবছো —
“রোটি-কাপড়া-মাকান অঊর ক্যায়া চাহিয়ে জনাব”