স্পর্শ কর সূর্জাহত ব্রেইল,
যা ঝাক বেঁধে ফিরেছে আমার শরীরের পরে;
তুমি কি তোমার পত্রপল্লবী কোন
শরতের রাতের মত সরিয়ে দেবে?
যখন আমি শ্বাস নেই ঘুমের সীমান্তে,
তুমি কি আমার পায়ের পাতায় লতিয়ে রবে?
অথবা-
তোমার হাতের তালু কি প্রসারিত করো
যেভাবে আমি চেয়ে থাকি অন্য পথে?
—
পায়ে পা তুলে হাত গুটিয়ে অচলতায় থাকা;
শুধু সেতুর সংখ্যা,
কখনও অনুউদ্দেশ্যেও হেঁটে দেখা হয়না।
অপেক্ষা কর সচেতন পায়ে।
আমার কণ্ঠাস্থি অনুভব করে তোমার আঁকড়ে রাখার দৃঢ়তা।
বিস্তৃত হাসি হেসে আমি বলি,
চলে যাও।
—
ভিন্ন কিভাবে?
অর্ধচন্দ্রাকার চোখ নিয়ে দেহাতিরা যেমন অভিবাদন করে ক্ষেপণাস্ত্রকে,
এবং আরও অভাবনীয় প্রসারিত বুক নিয়ে।
তোমার উচ্ছসিত পাজরে বাধা থেকে,
আমরা কি সবেগে অতিক্রম করেছিলাম পৃথীকারা,
শুধুই ছুঁয়ে দিতে অপ্রত্যাশিত ঘুণ পোকা?
আমরা কি এখনও সেখানেই অপেক্ষিত?
যেখানে তোমার অশান্ত দেয়াল ভোঁতা হয়ে শিখরে আবিষ্ট,
যেখানে তুমি মুক্তিপণের চাহিদায় আমার ফুসফুস জড়িয়ে ধরেছ?