
প্রিয়তমেষু,
নারীর প্রবাস জীবন কতটুকু স্বাচ্ছন্দ্যের আর নিরাপদ জানাতে ভুলো না।
আমার এখানে হাওয়ারা বৃদ্ধ, স্বাধীন নয় নদীর গতিপথ, এমনকী একটি ফুলও না
জলে জলে, দলে দলে বিভক্ত মানুষ।
সকল জরুরী চিঠি ঝড়ের কবলে
পোস্টম্যান পলাতক। বন্ধুরা কেউ কেউ স্কাইপে কথা বলে
তুমি বরং হলুদ খামে করে একখন্ড বরফ পাঠিও এই গ্রীষ্ণে
এবার অসহ্য গরম পড়বে মনে হয়।
সারাটাসময়
তোমার অনুপস্থিতিই দারুনভাবে আমাকে সঙ্গ দিচ্ছে।
চিঠিতে লিখে জানিও সেসমস্ত বাক্য যারা বুকে এসে বিঁধছে।
মনে আছে? একবার হঠাৎ রুপকথার মতো এলে, বুকের উপর বসলে পিঁড়ি পেতে
এরপর দুইজোড়া ঠোঁট, একজোড়া হৃদয়ের দেড়ঘন্টা লেগেছিলো একটি চুমু খেতে।
মনে আছে?
ছুটির দিনগুলোতে কী কী করো?
এখনো কবিতায় বানান ভুল ধরো?
গান শোনাও কাকে?
‘আহা আজি এ বসন্তে’ গানের সুর-তাল-লয় ঠিক থাকে?
আজ আম্মা এসেছিলো।
এতো এতো গল্প, কোন গল্পই যেনো শেষ করতে চান না
দেখামাত্রই জড়িয়ে ধরলেন, যেভাবে চোখের পাতা জাপটে ধরে অন্ধদের গোপন কান্না
আমার মা :
‘এখনো অনিয়ম, এইটুকু খেয়ে পোষায়? মাথার চুল এতো বড় রাখে?’
কোন উত্তর দিতে পারিনি, তার আগেই একটা বাস এসে নিয়ে গেলো মা’কে।
রাত ৪:০৯, অনেকটা গম্ভীর
টাইমলাইন ঘেটে ঘেটে ছবি দেখছি সদ্য বিবাহিত বান্ধবীর
স্তব্ধ, নিষ্প্রভ চোখ
পাশে কে? হয়তো বর অথবা অন্যলোক
সেকথা ভাবছি না
আমি আমার আঙুল খুঁজে পাচ্ছি না
মহল্লায় চোর-ডাকাত বেড়েছে রহস্যজনকভাবে,
অনেক কিছুই লিখতে পারিনি তোমাকে আঙুলের অভাবে।
চিঠি দিও
এই যুগে চিঠিও
হীরের মতো মহামূল্যবান ।
ইতি,
অনির্বাণ।