বহুক্ষণ তোমার সাথে কথা না হলে পাপ বাড়ে,
মনে ভাবি বুঝি বুকপকেটে হাবিয়া তুলেছি!
তখন ছিনতাই হয়েছিলো, সব টাকা নিয়ে নিল;
ওরা যে কেনো এতো নোংরা হয়ে গেলো!
এটিএম বুথ আর ডেবিট কার্ড
পরস্পরকে মুগ্ধ করতে পারেনি,
তাই এবেলা খাওয়াও হয়নি।
এই তল্লাটে বোধহয় আমি একাই মাতাল।
কেউ সাড়া দিচ্ছেনা,তবুও
চায়ের দোকানদার, টহল পুলিশ,
স্টেশনমাস্টার,ব্যস্ত যাত্রী
সবাইকে তোমার নাম ধরে ডাকছি।
বুঝতে পারছি মাতলামি করছি,
কিন্তু আমি কি আমাকে থামাতে পারি!
কি এক বিব্রতকর পরিস্থিতি!
ফুলকপির তরকারিটা ঝাল হলো কিনা জানিও।
ভাতের পাতিলটা উনুনেই ভুলে গেলে নাতো!
ইদানীং মশারীটাকে আমার খুব সন্দেহ হয়,
রোজদিন মশা ঢুকে পড়ে,
এ কি আর এমনি এমনি!
বেঈমান! প্রতারক!
আমি রাষ্ট্রপতিকে জানিয়ে রাখছি।
আজকাল তো আবার সবাই সব ভুলে যায়,দেখছি!
ট্রেনটা খুব অসভ্যের মতো চলছে,
না নিজে ঘুমাচ্ছে,না আমাকে!
নাম ধুমকেতু,নেশাতুর প্রেমিকের মতো গতি।
জ্ঞানহীন ট্রেনটাকে এসে নাটোরেই থামতে হলো?
আমি আত্মহত্যা মানি, ভালোবাসিনা।
তাই ভয়ে বনলতা সেন’কে খুঁজিনি।
কবিকে একপলক দেখলাম মনে হল,
আগুন খুঁজছেন-টার্মিনালে-বইয়ের দোকানে,
খুবই ব্যস্ত!
কুয়াশার শরীর গলে যাচ্ছে ধুমকেতু,বোধহীন,একা।
আচ্ছা, ট্রেন কি কখনও নেশা করে?
কিংবা ভালোবাসে
বুকের কাছটায় ছড়িয়ে থাকা কোন পাথরের ইচ্ছা?
Art: Daniel Arnold