পাঁচমিশালি মিথস্ক্রিয়ায়,
অস্তিত্ব চাপা পড়ে নতুন ঢালা পিচে—
সেখানে আবারও পথের জন্ম দেবে যে,
লুকিয়ে থাকে মস্তিষ্কের একটু নিচে।
কালিক পরিবর্তনে জঠরের আকার বদলে যায়,
জননী অজান্তেই অমানুষ জন্ম দেয়—
পৃথিবী ভাসে তার হর্ষের শীৎকারে!
আমিও মানুষ ছিলাম কোনকালে
কালের চাহিদা মেটাতে আমাকেও হতে হয় যন্ত্রচালিত কল—
জোর করে ভুলে যাই,
আমি তো কেবলই জল!
আমার আকার বদলে যাবে পাত্রের সাথে সাথে,
যেমন দেবতার ভূমিকা মানুষভেদে বদলে যায়!
মানুষ যাদের আক্ষেপ দিয়ে কিনতে চায়—
ইন্দ্র, পসেইডন, ভেনাস, আফ্রোদিতি, থর অথবা লোকি—
সবাই একে একে নিলামে উঠে যায়
কেবল নেফারদিতি একঝুড়ি প্রেম নিয়ে একা বসে থাকে!
মানুষ তখন নিলাম করছে কৃষ্ণের পরকিয়াকে।
হিসেব মেলেনা—
সবল কেন এতো ভয় পায় ভালোবাসাকে?
অস্তিত্ব টিকে থাকে ইতিহাসের পাতায়
অস্তিত্বের মনে তবু ইতিহাস হবার ভয়!
কি আছে এ ক্ষুদ্র অবয়বে?
বৃষ্টির ফোঁটায় যখন কেবলই জরার ভয়—
আর কি-ই বা তাকে শীতল করতে পারে?
রাত আসে, দিন যায়—
পৃথিবী রোজ সার্বজনীন হয়,
প্রতিটা দিন তাই একই মনে হয়
পৃথিবীর যেন আর কোন রহস্য নাই!
এবার তবে বিদায়।
অস্তিত্ব মরে যায়,
তার খোলস পড়ে থাকে;
জরার শেষে, ক্লান্ত বেশে
(Visited 343 times, 1 visits today)