হেঁটেছি মানুষের পথ ধরে, এই চিরকান্তিময় মাংশের পাশেপাশেই খুঁজেছি আশ্রয় বহু বহুবার। মানুষের ভেতরে সেঁধিয়ে নিহত হয়েছি, আরও জন্মেছি এই তীব্র রহস্যের জলাধারে। মৃত্যুকে দেখেছি জীবনের দিকে নুয়ে পড়তে, যেন লুকোনো স্তনের ভার নিয়ে – কাঁটার মত চোখ হয়ে যেন বিঁধে বিঁধে থাকে। শেষবেলার ফুরিয়ে আসা রঙের ওপারে দিনআনা মজুরির হাতের দিকে- বসে থেকে থেকে শিখেছি ডুবে যাওয়া, কতসব অলীক শব্দের ভেতরে আমাকে ঝুলিয়ে রেখেছে মানুষ সহস্র যুগান্তরে। হৃদয়ের ওম আমাকে টেনে নিয়ে গেছে কোথা থেকে কোথায় – ছুটেছি লোভাতুর, তৃণের মত ছড়িয়ে গিয়েছি মানুষের বুক ভরে। ছুঁয়েছি মানব প্রাণ কখনো শান্ত কাদামাটি, কখনো তীরবিদ্ধ পাখির মত জলন্ত নিনাদ, আরও ঘুরে ঘুরে দেখেছি মানুষের ভেতরের শিলালিপি – তীক্ষ্ম অক্ষরের স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে গেছে আমার চোখ, নীরব প্রান্তর ডিঙিয়ে জটিল মানচিত্রে।
একদিন,
চোখ বলে দিলো পৃথিবীর একমাত্র রঙ হলো সবুজ- যেন নিসর্গের নৈতিক রুপ হলো এই- মহাকালমাঝে, মহীরুহশরীরের সত্য তড়িৎ আমায় শুষে রেখে দিলো চিরকাল। আমি কাঁপছি – কাঁপছি, এবারে নির্জলা শেকড়ের খাঁজে আর মাটির শুদ্ধ গরিমায় সেঁধিয়ে যাবার আরাধনায়।