একদিঘী জল যেমন করে পলকে ছুঁয়ে ফেলে দহনক্লান্ত ডাহুকির ডানা-
তেমনই ছুঁয়ে থাকে ডাহুকি আমাকে।
একটা নাম দেবো ভেবে সমস্ত আয়োজনে দাসী করে রাখি বৃদ্ধ বিকেল;
চোখদুটো বেঁধে রাখি হাছিনের ঘুড়িতে,
দেখি যদি সেই মেঘমুখ,
দুচোখে যার হিজলের বন,
ব্যথায় বিলিন তার শব, যেন জলভাসা তাচ্ছিল্যের ফুল।
ভাড়া করে আনি শ্মশানের আগুন,
দুহাতে তা বিছিয়ে রাখি বুকে,
উহহহহহ: তবুও তবুও কে মনে আশে ভাসে?
কার জন্য এতো আয়োজন?
অবোধ অভিনয়ে দাঁড়াই শেষের সহনে,
নিথর পাথর কোন? ঠান্ডা;
অপেক্ষা ফুরালে অন্ধের কুপির কেরোসিনের মাধুর্য্যে,
হিমজ্বল রাতের সমস্ত বাসনাকে পিষে ফেলে মাটির তলায়-
পাহাড়ি দিকভোলা জোঁকের শাস্তির আদলে:
চোখে ঠোঁটে মুখে মাধবীলতা হয়ে
বেয়ে বেয়ে উঠে পড়ে শ্মশানের সেই ভাড়াটে আগুন,
গনগনে বিষে;
একটা নাম দেবো ভেবে ভেবে আমাদের সম্পর্ক এখনও মর্গে;
আর অস্তিত্বের দাবিতে গোটা মরচুয়ারী ঢুকে পড়েছে কণ্ঠনালীর ভেতর,
বিষাদের শেষ ঢোকে-
জলের ছদ্মবেশে।