তোমার শরীরের কথা পড়তে পারিনি বলে-
এক মৃত্যু গান কণ্ঠে তুলে,
আমি হেঁটে গেছি, হেঁটে গেছি কীর্তনখোলায়!
বুকে নিয়ে শীতের সকাল,
ঝরা পাতায় বুনেছি ঘুম।
আসছে ফাল্গুন, জ্বলবে আগুন বিপ্লবী মশালে!
কৃষাণী প্রেয়সী আমার, মাটির পিদিমে সেঁকে চোখ,
তাকিয়ে আছে পথে, শহর ফিরবে বাড়ি!
গাড়িতে বোঝাই কুকুরের লাশ!
দু’পায়ের হিংস্র নেকড়ে খুবলে খাচ্ছে,
বোনের উর্বর মাটি!
মিছিলে মিটিং-এ যে মেয়েটি স্লোগান দিচ্ছে অধিকারে,
লোভাতুর চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে হাজারো পিশাচ!
স্তন থেকে সরলে আঁচল,
আদিম জঠরে প্যারাসাইটের মতো টিকে থাকা,
টিকে থাকা প্রাগৈতিহাসিক কাম,
তাকে ভাঙতে চায়, তাকে মারতে চায়,
পিষে ফেলতে চায় হাতের চাপে!
কি এক জঘন্য দিন!
কি এক জঘন্য রাত!
কি জঘন্য বেঁচে থাকা!
বর্বর
ক্ষিপ্ত
বুনো উল্লাসে
শীৎকাররত দাঁতাল জন্তু!
দীর্ঘশ্বাস তুমি নেমে এসো,
তুমি নেমে এসো মৃত শহরে পাজরে!
বুকে নিয়ে বিষাদী মেঘ,
তুমি জোছনা নামাও, জোছনা নামাও!
যেন কৃষাণী প্রেয়সী আমার,
কণ্ঠে তুলে কবিতা স্লোগান,
জন্ম দিতে পারে অধিকার আমার সন্তানের!