ফ্লাডলাইটের আলো পেছনে ও মাথার উপরে
যেখানটায় আমি বসে আছি আমার পাবলিক চেয়ারে।
ধীরে ধীরে অন্ধকার হয়ে আসা লনটাও এখন আলোকিত।
লাইব্রেরির জানালাগুলো তাকিয়ে আছে।
আমি একা এই ভিড়ের মাঝে- এ প্লুরিবাস প্লুর্স।
পরিবার থেকে অনেক দূরে, তাদের কথা স্মরণে আসে।
আমি প্রায়ই বলতে যাচ্ছিলাম আমি নিঃসঙ্গ, কিন্তু নিঃসঙ্গতা,
আমার মনে পড়ে, আরও খারাপ কিছু এর থেকে।
নিঃসঙ্গতাই আসল দরিদ্রতা।
আমি বরং এমন বান্দা যার চলেফিরে আপাতত বেশ থাকে,
কিন্তু সে মানিব্যাগটা ভুল করে সাইড টেবিলে ফেলে
তাড়াহুড়া করে অফিসের জন্য বের হয়েছে।
এখন তার না খেয়ে থাকতে হবে, চাইলেও খাবার বা কফি
জুটবে না আরও কয়েক ঘণ্টা।
এই যা। কিন্তু তার এখনও মানিব্যাগ আছে। ফোলা একটা মানিব্যাগ।
সেটা মাথার ভেতর মাছের মত ভেসে বেরাচ্ছে…
ভালবাসার জন্য টাকা- এক ভয়ঙ্কর উপমা।
কিন্তু মনে হয় এখানে যথার্থ,
ম্যাডিসন এভিনিউর কয়েক ব্লক রাস্তা পরে
পণ্য সেখানে কত প্রিয়,
আমার চারপাশে সেখানে ধনী দালানগুলো
গরীব আকাশকে প্রেম নিবেদন করে,
ফেরত পাঠানো প্রতিদিনকার খরচ হয়ে যাওয়া যাত্রীরা
বয়ে যায়, অনিশ্চিত, তার পাশে-
শহরের এই ব্যাপক ব্যয় এইখানে,
টাকাই কি এর মূলে নয়?
কিন্তু, আমি বকবক করছি এখন। আসল প্রসঙ্গ ভুলে।
আমি যেটা বলতে চাচ্ছিলাম প্রথম থেকে
তা হল আমি একজন নারীকে পড়তে দেখছিলাম
চেয়ারে বসে, আমারটার থেকে খুব দূরে না।
রুপালি চুল, শান্ত, দেখে কিসের যে এক ক্ষুধা লাগে
ঠিক ঠাওর করতে পারি না,
কারণ হয়ত তাকে নিঃসঙ্গ মনে হয় না বলে।
আর আমার যেটা ভালো লেগেছিল সেটা হলঃ
যখন সন্ধ্যা তার বইয়ের পাতা অন্ধকার করল,
যেন এক চুমুর আশায়,
সে চোখ বন্ধ করে মাথাটা এলিয়ে দিল,
বইটা খোলা তার কোলে,
হয়ত সে ভাবছিল তার গল্পটার কথা,
বা হেমন্তের বাতাসের কথা, বা ভাত-ঘুমের।
আমি ভাবলাম তখন সে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে
অন্ধকারের শখগুলোতে ব্যস্ত হতে।
কিন্তু, মনে হল, সে ঘনিষ্ঠ আরও
ব্রায়ান্ট পার্কের ছন্দের সাথে,
কারণ যখন ধীরে ধীরে ফ্লাডলাইট জ্বলল,
আমার প্রয়োজনের অতিরিক্ত হয়ে,
ঘাসগুলো আবার সবুজ হল, আর নারীটি
আবার চোখ খুলল পড়ার জন্য।
Original published in Poetry Foundation
Art: “Thunderheads”, u/sarahdeanarts, Oil on Canvas, 2020