WHAT THE SHROUDED RUNAWAY WAS SAYING (CHAPTER 77)
টলো, চলতে থাকো, চলো। এটাই তার থেকে সরে যাবার একমাত্র পথ। পৃথিবীর শাসনকর্তার আমাদের চলা থামানোর কোন ক্ষমতা নেই এবং এটাও জানে যে যখন আমাদের শরীর চলে তখন তা পবিত্র, আর শুধুমাত্র তখনই তার থেকে পালানো সম্ভব যখন চলন শুরু হয়। সে স্থির ও হিম সবকিছুর উপরে রাজত্ব করে, সবকিছু যা নিষ্ক্রিয় ও নিশ্চল। সুতরাং চলো, টলো, হাঁটো, দৌড়াও, ওড়ো, কারণ যেই মুহূর্তে তুমি ভুল করে স্থির দাঁড়াবে তখনই তার সুদীর্ঘ হাত তোমাকে ধরে একটা পুতুলে পরিণত করে দেবে, তুমি তার শ্বাসবন্দী হবে যেখানে তীব্র ধোঁয়া ও আচ্ছন্নতা ছড়াচ্ছে শহরের বাইরের সবচেয়ে বড় ময়লার স্তুপের নগ্নতা। তিনি তোমার উজ্জ্বল রঙিন আত্মাটা নীচু করে দেবে কাগজের টুকরোর মতো, সংবাদপত্রের মতো। হুমকি দেবে আগুনের, দুর্দশা এবং যুদ্ধের, ভয় দেখাবে যেন তোমার আত্মার শান্তি হারিয়ে নির্ঘুম হয়ে যাও। তোমাকে চিহ্নিত করে তার নথিতে নথিভুক্ত করে রাখবে, দেখাবে পতনের সমস্ত দলিলাদি। সে তোমার মাথাটাকে অগুরুত্বপূর্ণ জিনিস দিয়ে ভরে রাখবে, কি কিনতে হবে, কি বেচতে হবে, কোথায় জিনিসপত্র সস্তা, কোথায় বেশী দামী? তখন থেকে তুমি তুচ্ছ জিনিস নিয়ে ব্যস্ত থাকবে- পেট্রোলের দাম এবং তা দিলে ধার শোধ হবে কি দিয়ে। তুমি প্রতিটা দিন কষ্টে কাটাবে যেন তোমার জীবনটাই কারাদণ্ডে দন্ডিত। কিন্তু কি অপরাধে? কে করেছে, কখন? তুমি তা কখনও জানবেনা। একবার, অনেক আগে জার পৃথিবীটা সংস্কারের চেষ্টা করে পরাস্থ হওয়াতে দুনিয়াটা শয়তানের হাতে চলে যায়। ঈশ্বর, পরম ঈশ্বর, মহৎ ঈশ্বর পৃথিবী থেকে নির্বাসিত হয়ে যায়, ক্ষমতার পাত্রটা চূর্ণ-বিচূর্ণ অবস্থায় বিলীন হয় ভূগর্ভের সর্বোচ্চ গভীরে। কিন্তু যখন সে লুকায়িত থেকেই ফিসফিস করে কথা বলে তা শুধু একজন সৎ মানুষ শুনতে পায়, একজন সৈনিক, ইয়েফিম, যে তার কথাকে প্রাধান্য দেয়। রাতের বেলা সে তার রাইফেল ছুড়ে ফেলে, খুলে ফেলে ইউনিফর্ম, মোজা-বুট থেকে মুক্ত করে পা নগ্ন হয়ে আকাশের নিচে দাড়ায়, যেভাবে ঈশ্বর তাকে সৃষ্টি করেছ। সে দৌড়ে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে একটা ওভারকোট গায়ে চেপে গ্রাম থেকে গ্রামে দৌড়ে বেড়ায়, প্রচার করতে থাকে বিষণ্ণ সংবাদ। যাও, ঘর ছেড়ে পালাও, যাও, দৌড়াও এভাবেই শয়তানের ফাঁদ থেকে নিজেকে মুক্তি দাও। খোলা ময়দানে শয়তানের সাথে যুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয়। তোমার সম্পদ ছাড়ো, জমি ছেড়ে রাস্তায় নেমে পড়ো।
যেকোনকিছু যা এই পৃথিবীতে অটল- প্রতিটা দেশ, গীর্জা, সরকার, যা কিছু এই দোযখে চলমান- তার আদেশে চলে। সবকিছু যা সংজ্ঞায়িত, যা কিছু পরিমাপযোগ্য, যা অবকাঠামোগত, যা লেখা আছে রেজিস্ট্রারে, সংখ্যায়িত, সাক্ষ্য সিদ্ধ, শপথিত; যা কিছু সংগৃহীত, প্রদর্শিত ও নিয়ন্ত্রিত। যা কিছু থেকে যায়: বাড়ি, চেয়ার, বিছানা, পরিবার, পৃথিবী, বপণ, রোপণ, উন্নয়ন। পরিকল্পনা, ফলাফলের অপেক্ষা, কর্মপদ্ধতি বিবেচনা, রীতি রক্ষা, এভাবেই তোমার সন্তানকে লালন করো যেহেতু এইসব বোঝাপড়া ছাড়াই তুমি তাদেরকে জন্ম দিয়েছো। তারপর রাস্তায় নেমে পড়ো; তোমার মা-বাবাকে কবর দাও, যারা কোন বোঝাপড়া ছাড়াই তোমাকে এই পৃথিবীতে নিয়ে এসেছে- অত:পর চলে যাও। এখান থেকে বের হও, অনেকদূরে চলে যাও, তার নিঃশ্বাসের সীমানার বাইরে, তারসমূহের বাইরে, এন্টেনা ও তরঙ্গের বাইরে, প্রতিহত করো তার সূক্ষ মাপকাঠিকে।
যে সময় নেবে সে পাথর হয়ে থাকবে, যে থেমে যাবে সে ক্ষুদ্রতায় কোনঠাসা হয়ে রবে, তার হৃৎপিন্ড ভেদ করে যাবে কাঠের সুঁই, হাত-পা ছিদ্র করে গেঁথে রাখা হবে মেঝেতে ও সিলিংয়ে।
এভাবেই সে মরে গেলো, ইয়েফিম! যে বিদ্রোহ করেছিল। তাকে আটক করে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়, পোকার মতো নিশ্চলতায় প্রদর্শিত করা হয় মানুষ ও অমানুষের জন্য, কিন্তু সর্বাধিক অমানুষের জন্য, যারা বিমোহিত হয় এরকম দৃশ্যে; এটা অবাক হবার মতো কিছু নয় কারন তারা প্রতিবছর এসবের পুনরাবৃত্তি উদযাপন করে, প্রার্থনা করে মৃতদেহের কাছে।
এজন্যই সবধরনের শোষকেরা, নরকের দাসেরা, যাযাবরদের জন্য তীব্র ঘৃণা পুষে রাখে, নির্যাতিত হতে থাকে জিপসি ও ইহুদীরা। তারা সব স্বাধীন মানুষকে আবাসনে বাধ্য করে একটা ঠিকানা চাপিয়ে দেয়, যা কারাদণ্ড।
সময়কে মিথ্যা প্রমাণে তারা একটা চিরস্থায়ী রীতি প্রবর্তন করে। তারা চায় দিনগুলো ফিরে ফিরে আসুক, অপরিবর্তনের মতো। তারা এমন কোন বিশাল যন্ত্র বানাতে চায় যেখানে প্রত্যেকটা প্রাণী বাধ্য হবে নিজের জায়গা নিতে, মিথ্যে শ্রম দিতে। প্রতিষ্ঠান ও অফিস, ডাকটিকেট, সংবাদপত্র, ক্ষমতাক্রম, র্যাঙ্ক, ডিগ্রি, আবেদন-প্রত্যাখ্যান, পাসপোর্ট, নাম্বার, কার্ড, নির্বাচনের উপসংহার, মূল্যহ্রাস ও পয়েন্ট জমানো, সংগ্রহ, বিনিময়।
ওরা চায় বারকোড দিয়ে পৃথিবীটাকে সন্ত্রস্ত্র করে রাখতে, সবকিছুর ট্যাগ দিতে। এটা জানাতে চায় যে সবকিছুই এখন পণ্য, কোন জিনিস কিনতে তোমার খরচ কতো? এই অপরিচিত ভাষাটা যেন মানুষের কাছে অস্পষ্টই থেকে যায়, যেন শুধু যন্ত্রই পড়তে পারে এ ভাষার মানে। এভাবেই রাতের বেলায় তারা তাদের আন্ডাররগ্রাউণ্ড বাণিজ্যলয়ে বসাবে নিজেদের বারকোডিয় কবিতা সভা।
যাও, যেতে থাকো। সে ই আশীর্বাদসিক্ত যে চলে যায়।
——
Translated from English to Bengali by Raisul Nayon and Mahmood Sadaat Ruhul
——
Copyright © Olga Tokarczuk 2007
Translation copyright © Jennifer Croft 2017