তিলোত্তমার সাথে শেষ সহবাসে,
খুব কথা কাটাকাটি হয়েছিল-
সংশোধিত অভিধান আর শুল্কপক্ষের চন্দ্রিক ভয়াবহতা নিয়ে।
তিলোত্তমা ‘চ’ বর্গীয় বানানে গণতন্ত্র লিখে খুব হেসেছিল।
আমাদের সহবাসে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছিল কনডমের শৈল্পিক ব্যবহার।
সন্তান সম্ভবা হবার সমস্ত বাসনা এক টুকরো কাপড় দিয়ে মুছে নিয়েছিলাম।
আমি আমার মতো কুলঙ্গার জন্ম দিতে চাইনি,
তিলোত্তমা চায়নি অযোগ্য মা হতে!
মিথ্যে গণতন্ত্রের মতো
আমাদের সম্পর্ক পদদলিত হয়েছে
সমাজের রাস্তায়,ফুটপাথে।
ভালবাসাবাসি বোধগম্যতা হারিয়েছিল।
নগরীর প্রতিটি চোখ ছিঁড়ে-কুঁড়ে খেয়েছিল তিলোত্তমার আবৃত দেহ।
আবার ৭১,আবার ৬৯,আবার ৫২,
কোথাও স্বাধীনতা নেই!
সংবিধান পাওয়া যায় জাদুঘরে,চায়ের দোকানে।
আমাদের খুব কথা কাটাকাটি হয়েছিল পঁচাত্তর নিয়ে।
স্বৈরশাসন,মৃত্যু,দুর্ভিক্ষ,ক্ষুধা;
সব,সবকিছু ভাসিয়ে দিয়েছিলাম বিছানার চাদরে।
খ্যাপাটে শরীর থেকে কনডম খুলে নিতে নিতে,
তিলোত্তমা বলেছিল-
সব সালাদের মুখোশ খুলে দেব,
বিরঙ্গনা হবো চৈত্রের রাতে।
তিলোত্তমার সাথে শেষ সহবাসে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়েছিল-
২১,২৫,২৬,১৬ আর পরিবার প্রথা নিয়ে।
আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিতে দিতে তিলোত্তমা বলেছিল-
এতো স্বাধীনতা চুদিয়ে লাভ নেই প্রিয়তম,
আমিই বাংলাদেশ,তুমি বরং মহাত্মা গান্ধীর আঁকা মানচিত্রের মতো
চারিদিক থেকে আমাকে ঘিরে রাখো।।