সবচেয়ে যাকে ঘৃণা করি
নন্দীতা অধিকারী
আমি দেখি পৃথিবীর শ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসে!
রক্তের ছোপে পৃথিবীর শিরা উপশিরা আবৃত।
অনাগত শিশু খুবলে খায় মায়ের জঠর।
তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থানে টুকরো করে ফেলা হয়েছে বলে।
হাত ভর্তি রক্ত দিয়ে তোমার কপালে জয়ের তিলক রেখা আঁকি।
এ কিসের জয় আমি জানি না।
ঈশ্বর তার সৃষ্টি দেখে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।
এত সাধ্য সাধনার ফসল এরা নয়।
মৃত্যু এসে গলার খুব কাছটায় আঁটকে থাকে।
মৃত্যু আজকাল খুব সহজলভ্য!
প্রতিদিন দুই গ্রাস ভাতের সাথে মৃত্যুর স্বাদ নেই।
মায়ের বুকভরা আহাজারি দেখতে দেখতে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলি;
মায়ের আঁচলে বন্ধুর রক্তের দাগ মুছি।
প্রেমিকার চোখে খুনির রক্তপিপাসা দেখি।
মুঠোয় পুরে থাকা লাল গোলাপ, রক্ত হয়ে গড়িয়ে পড়ে।
নৃশংস মৃত্যুর গান শুনতে শুনতে খোকা মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়ে ।
নির্মম মৃত্যু দেখতে দেখতে অসাড় হয়ে গেছে মন।
মনে হয়, প্রেমিকের সারল্যের পেছনে লুকিয়ে আছে ঘাতকের মুখ।
শেষমেশ, নিজের অস্বাভাবিক স্বাভাবিকতা দেখে নিজেকেই ঘৃণা করি।