শুনেছি —
বালিশের তুলোর মতো নরোম স্নেহ সে জমায়!
শিশুর ঘুমের মতো নিষ্পাপ যে স্পর্শ,
রাজহাঁসের গায়ের শাদা রঙের মতো যে শুভ্রতা
আর দীর্ঘশ্বাসের মতো বিব্রত যে অনুভূতি,
সেসব নিয়ে অপেক্ষা করে প্রিয় পুরুষটি!
শুনেছি—
সে মানুষটির চোখের কোণে জমে আছে জল!
অবনত চোখ, থতমত মুখ নিয়ে চেয়ে থাকারা
শিশুর মুখের আধো আধো বুলির মতো
চোখ বেয়ে আস্তে আস্তে নেমে আসে পাহাড়ি নদী
যেন আমি একবার ছুঁয়ে দিলেই,
কর্পূরের মতো উবে যাবে—
প্রিয় পুরুষটির পকেটভর্তি চেনা বিষাদেরা!
জেনেছি—
নতজানু প্রার্থনারত হাতের জ্যামিতিক সঙ্গা,
অলকনন্দা ফুলের মতো মায়া নিয়ে,
তীব্র প্রতীক্ষা করে গেছে যুগ যুগ।
যেন আমি একবার চেয়ে দেখলেই,
হামিং বার্ডের মতো গুটিয়ে যাবে,
শিশুর মতো অপলক দৃষ্টি ছড়াবে!
জানাচ্ছি —
অপেক্ষাকৃত সম্মোহনী যে আকাঙ্খা,
তার শার্টের বোতামের মতো কোলাহল,
আর হৃদয় সম্পর্কিত ক্যাকোফোনি ছাপিয়ে—
আমি অব্যবহৃত শব্দের মতো,
প্রকাশ্যে ফোটা নিমফুল হয়ে,
আশ্রয় যোগাবো বাহুডোরে।