চাইলেই যে কোথাও শুরু করা যায়না। এটা বিনাশী।
বিস্ফোরিত বুলেট এবং একটা ঘরের চোখ,
এক সারি বাড়ি।
থলথলে উচ্ছিষ্ট মুখে নিয়ে একটা ইঁদুর
আড়াল করে নিচ্ছে আলো।
একটা বাচ্চা নিজেকে বেধে নিয়েছে মায়ের পিঠে।
মুক্তি।
শহর ভরে গেছে সৈন্যে, নদী, জনপদ, গ্রাম, বিছানা আমাদের রান্নাঘরে।
তারা সর্বভুক।
অথবা জ্বালিয়ে দেয়।
তারা মেরে ফেলে যা অধিকার অযোগ্য।
তারা ধর্ষণ করে।
যা হত্যা করতে পারেনা তা অধিকারে রাখে।
বৃষ্টির মতো গুজব বর্ষে।
বর্ষে বোমার মতো।
অনাগত শান্তির আশায় বাবা এবং মা রঙা
কান্না গেলার মতো।
যেমন তির্জকভাবে সূর্যাস্ত চলে যায় চন্দ্রহীন মধ্যরাত পর্যন্ত।
যেমন গন্তব্যহীন রেলগাড়ি।
যেমন কোন পতিত বীজ যার গাছ হবার কোন সম্ভাবনা নেই অথবা কোন জায়গা যা পাখির বসবাস যোগ্য।
না, এখানে শুরু।
বনানী থেকে উকি দেয় হরিণ।
আমরা দেখতাম কাঠঠোকরা, সূর্যের আকার, কার্ডিনাল এবং চিকাডি গাইছে সকালের গান।
আমরা বাইরের পিচ্ছিলতায় রান্নাব্যস্ত হয়ে পড়তাম শিশিরস্নাত উচ্ছলতায়,
আহ সেসব ধোঁয়াটে সূর্যাস্ত।
আমরা ভান করেছিলাম, যুদ্ধ হবেনা।
তবুও তারা আমাদের ঘিরে ঘর নির্মাণ করেছিল, চাহিদা অসমাপ্ত।
তারা আমাদের শিশুদের শিক্ষা দিচ্ছিল তাদের ঈশ্বর কথন,
একটা গল্প যেখানে আমরা আজন্ম দাস।
না, এখানে নয়।
এখানে শুরু করা যায় না।
এইসব স্মৃতি এখন ছিন্নভিন্ন
কারণ কবিতা বা শব্দেও প্রকাশ অযোগ্য।
এইসব স্মৃতিরা এখানে গাছের সাথে রয়ে গিয়েছিল:
তোমার কন্যার হাতে বোনা জামার চীর্ণ পকেট,
নিচোল, ফিতা।
খুব যত্নে বোনা শিশুর মোকাসিন এখনও পায়ে পড়া,
প্রেমিকার কাছে প্রেমিকের প্রতিশ্রুতির চিঠি-
না! এখানে শুরু করা যায় না।
দূরের বোমার শব্দেও সবাই ঘুমাচ্ছিল।
সন্ত্রাস ছিল পরিচিত কোন অচেনা।
আমাদের প্রিয়তম মেয়েরা মুখ লুকিয়েছে রাত পোশাকে, তাদের বাবা এবং আমার পাশে।
যদি এখানেই শুরু করি কবিতাটা শেষ হবেনা।
‘কাউকে তো বেচে থাকতে হবে’,
পিতামহ গেয়েছিল তার দৌহিত্রের জন্যে,
যা পৌছে গিয়েছিল শিশুদের হৃদয়ের গভীর পর্যন্ত।
যা গুপ্ত রয়ে যাবে সৈনিকের থেকে,
যারা নাভিমূল থেকে এ গান বয়ে নিয়ে যাবে ক্রোশ পথ, নদী,পাহাড়ে।
সে জানত একদিন,অনেক পরের একদিন দৌহিত্ররা ফিরে আসবে, প্রজন্মান্তরে রাজপথের মসৃণতা ধরে, যা নির্মিতি হয়েছিল পুরনো রেখার বুকে।
তারা এসেছিল ধ্বংসাত্মক আইনের দেয়াল ভেঙে,
তাদের পুর্বপুরুষের গ্রন্থাগারের সীমানা ছাড়িয়ে, পাথর জন্ম।
তার গান আমাদের নিয়ে আসে এই ধোঁয়াটে পাহাড়ে।
তার ঘরে।
এখানে শুরু।
—
Artwork: Bernard Rancillac, Enfin silhouettes affinées jusqu’à la taille, 1966
Original work: https://www.poetryfoundation.org/poetrymagazine/poems/143934/how-to-write-a-poem-in-a-time-of-war