যেদিন তোমার ঈশ্বর এবং আমার ঈশ্বর
মিলিত হবেন এক বিন্দুতে,
সেদিন অলিম্পাসের চূড়া থেকে হবে ঘন ঘন হর্ষের বজ্রপাত!
কৈলাসের প্রান্ত থেকে রণডমরুধারী ব্যোমভোলানাথ
বিনাশী নৃত্য ভুলে মেতে উঠবেন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!
যেদিন তোমার এবং আমার সন্ন্যাসব্রত এসে
মিলিত হবে এক বিন্দুতে,
সেদিন রাস্তার অন্ধ ভিখারি
স্রষ্টার গুণবাচক নামের বাণিজ্যিক ব্যাবহার ছাড়াই
পেটপূর্তি খাবার খেয়ে প্রার্থনা করবে কায়মনোবাক্যে!
যেদিন তোমার আর আমার গণ্ডিবদ্ধ সংকীর্ণচেতা আদর্শ
মিলিত হবে এক বিন্দুতে,
সেদিন থেকে বুর্জোয়া আর প্রলেতারিয়েতের বুকে
দাঁতাল বুটজুতো মাড়িয়ে উঠে দাঁড়াতে পারবে না।
“গানস” বলতে লোকে “রোজেস”-ই বুঝবে,
যুদ্ধ বলতে বুঝবে রক এন্ড রোল মিউজিক!
যেদিন তোমার আর আমার ঘৃণা এসে
মিলিত হবে এক বিন্দুতে,
সেদিন তিনশো ষাট আউলিয়ার পুণ্যভূমিতে
সাংবিধানিক বাঁদরনাচ বন্ধ হবে।
আকবর বাদশা আর হরিপদ কেরানী
রবিঠাকুরের কবিতার ছত্রে বন্দী না থেকে
স্টার কাবাবে এসে মাটন চপ সাঁটাবে!
যেদিন তোমার আর আমার ভালোবাসা এসে
মিলিত হবে এক বিন্দুতে,
সেদিন আকাশ ভাঙ্গা জোছনা হবে,
নদীতে জোয়ার এবং সাগর ভরা উথালপাথাল ঢেউ হবে,
উষর জমি পলিমাটির কোমলতায় উর্বর হবে,
গাভীর ওলান শুভ্র ফেননাভ দুগ্ধে স্ফিত হবে,
প্রেমিকারা গর্ভবতী হবে!
অতয়েব, হে বিপ্লবী এবং হে রক্ষণশীল
ধরণীমাতার একই জঠরে লালিত সন্তান,
এসো, সমস্ত পৃথিবীটাকে আরো একবার ওলট পালট করে দিয়ে
আমরা সঙ্গমে লিপ্ত হই!
এবং তোমাতে আমাতে মিলে জন্ম হোক
এক অভিন্ন অবিনশ্বর মর্তালোকের
যেখানে জয় হবে কেবল
মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসার…